সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৫৮ রানে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে ঘরে মাঠে টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। এবার স্বাগতিকদের সামনে বাংলাওয়াশের হাতছানি।
২৪২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৭৮ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২২ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় সফরকারীদের। আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন রেজিস চাকাভা। এরপর দলীয় স্কোরে ১ রান যোগ হতে না হতেই সাজঘরে ফেরেন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চিবাবা। মাশরাফি বিন মোর্তজার বলে বোল্ড আউট হন তিনি। জিম্বাবুয়ের স্কোর যখন ৪৫, তখন নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান মুস্তাফিজুর রহমান।
পরে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজা। এই দুই ব্যাটসম্যান ৭৩ রানে জুটি গড়ে স্বাগতিকদের বেশ চাপে ফেলে দেন। এ পর্যায়ে জাদু দেখান আল আমীন হোসেন। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় সিকান্দার রাজা ও ১৫৬ রানের মাথায় চিগুম্বুরাকে ফিরিয়ে দলকে দারুণভাবে খেলায় ফিরিয়ে আনেন দীর্ঘসময় দলের বাইরে থাকা এই বোলার। দুই ব্যাটসম্যানই ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন। ব্যক্তিগত তৃতীয় স্পেলে এক ওভারে জংই ও পানিঙ্গারাকে ফিরিয়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। ইমরুল কায়েসের ৭৬ ও নাসির হোসেনের ৪১ রানে ভর করে ২৪১ রান করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। সফরকারীদের পক্ষে তিনাসে পানিঙ্গারা ৩টি ও গ্রায়েম ক্রেমার ২টি উইকেট নেন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩২ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ১৯ রানে লুক জংউয়ের বলে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তামিম ইকবাল। এরপর ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন দাস। তবে তাদের সেই জুটিও বেশী বড় হয়নি। ব্যক্তিগত ৭ রান করে একাদশ ওভারে ফিরে যান তিন নম্বর ব্যাটসম্যান লিটন দাস। অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে তিনিও ধরা পড়েন চাকাভার গ্লাভসে। দলীয় ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এবার ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে ৯ রান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবার ফিরেছেন ৪ রান করে। লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের বলে চাকাভার গ্লাভসবন্দি হন তিনি।
এরপর ইমরুলের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন মুশফিকুর রহিম। তবে গত দিনের মতো ইনিংসটাকে বড় করতে ব্যর্থ হন মুশফিক। ব্যক্তিগত খাতায় ২১ রান যোগ করে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে লুক জংউইকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ইমরুলও বিদায় নিলে আবারো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শন উইলিয়ামসের আগের বলে এগিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। পরের বলে এগিয়ে এসে লং অফ দিয়ে আবার উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন তিনি। এবার ফুলটস বলে গ্রায়েম ক্রেমারের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ৭৬ রানের ইনিংসটি। শেষ বেলায় ব্যক্তিগত ৪১ রান করে দলীয় রানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নাসির হোসেন।